Thursday, August 9, 2007

পুজোস্মৃতি


.
আজ আকাশ,বেশ পরিস্কার,টুকরো মেঘের আনাগোনা।তার ফাঁকে ফাঁকে নীল আকাশের উঁকি ঝুঁকি ভালই লাগে।কেমন একটা পুজো পুজো গন্ধে চারিদিক সুরভিত হছে।
দুর্গা পুজো,যখন ছোটো ছিলাম,তখন দুর্গা পুজোর,একটা আলাদা মজা ছিল।বাবা,কবে মা কে নতুন জামা কাপড় কেনার জন্য টাকা দেবে,সেটা তে আমাদের ভাই বোনের নজর থাকতো,কারন তারপরেই আমাদের জামা,কাপড় জুতো আসতো।এর পর থাকতো,পুজোর হাতখরচা।পঞ্চমী থেকেই পুজো সুরু হয়ে যেতো।
পাড়ার পুজো প্যান্ডালেই,সারাটা দিন কাটত।নতুন জামা পরা,তা থেকে নতুন মাড়ের গন্ধ বেরত,নতুন জুতো পরে পায়ে ফস্কা পড়ত,পায়ে হেঁটে ঘুরে ঠাকুর দেখা হতো।তার একটা আলাদা আনন্দ ছিল।নবমীর রাত থেকেই মনটা খারাপ হয়া সুরু হতো।দশমীতে পুজো শেষের ঢাকের বাজনা,শুনলেই মনে হতো একটা কিছু যেন,চলে যাছে,আবার একবছরের, পথ চেয়ে বসে থাকা।পাওয়াতেই তখন আনন্দ ছিল।
এখন পুজটা পাল্টাল, না আমার মানসিকতা,সেটা বুঝতে পারি না।তবে কিছু যে একটা পাল্টেছে,এটা বেশ বুঝতে পারি,কারন মনের সেই আনন্দটা যেন আমায় ছেড়ে অন্য কারুর কাছে চলে গেছে।এখন হয়তো অনেক ভাল জামা পরার সামর্থ আছে,কিন্তু ইছে হয় না।বেশ কয়েকজনকে জামা কাপড় দেবার ভার,আমার ওপর।মনে করে করে,তাদের কিনতে কিনতেই,নিজের জন্য আর কেনার ইছা চলে যায়।
তবে আমার দেওয়া জামা,কাপড় পরে যখন কেউ আনন্দ পায়,তখন একটা আলাদা আনন্দ পাই,যেটা ভাষায় বোঝানো সম্ভব না।
হয়তো,এখন দেওয়াটাই আনন্দ।

2 comments:

মধুশ্রী said...

খুব সুন্দর লিখেছেন। কিন্তু একটি শিরোনাম (title) থাকলে , ভালো হত।

ছোট্টবেলার পুজো'স্মৃতি
মনের মধ্যে আসে...
মিষ্টি খুশির দিনগুলি সব
চোখের সামনে ভাসে।

ফেলে আসা ছোটবেলার অনেক ভুলে-যাওয়া কথা, বিশেষ করে পুজোর দিনের সব স্মৃতি...মনে পড়ে গেল।

মধুশ্রী said...

যদি পাখি হোতাম

হোতাম যদি পাখি কোন,
থাকতো না কো বিনিদ্র স্বপ্ন।

হতো না শিখতে অ-আ পড়া,
হতো না ক্লাসে নজর কাড়া।

থাকতো না কো হাজার বাধা,
সকাল বেলায় গলা সাধা।

শিখতাম না যে খাবার নিয়ম,
খেতে গিয়ে লাগতো বিষম।

হতো না ভরতে জমার খাতা,
ঘামাতে হতো না এতো মাথা।

পোয়াতে হতো না সংসারজ্বালা,
বুড়ো বয়সে এই অবহেলা।

এই যদি হয় মানব জীবন,
মা কে আমি করব বারণ।

পাখি হয়েই আছি ভালো,
চাই না মা গো, জ্ঞানের আলো।