Tuesday, August 7, 2007
অন্য মা
অনুরনন,সুর এ সুর মেলানো।কার সুরে,যে কার সুর এর মিল হয়,এ বোঝা বড়ো শক্ত।হয়তো আজ সুরের মিলন হলেও,কাল বেসুরো হতে পারে।এই কারনেই বোধ হয় এত মিলন,এবং তার বিছেদ।
এটা আমার প্রথম লেখার প্রয়াস,অনেক ভুল হবে,জারা পড়বেন তারা নিজ গুনে আমাই ক্ষমা করবেন এই আশা রাখলাম।আর যিনি আমায় এই লেখার উতসাহ দিয়েছেন,তাঁকেও জানাই,অশেষ ধন্ন্যবাদ।
আমার এই ছোট্টো জীবনেও,বেশ কিছু ব্যক্তিত্ত এসেছেন,এবং এক সময় চলেও গেছেন। সবার কথা মনেও নেই,কিন্তু এক জন এর কথা আমি কোনো দিন ভুলতে পারব না,তিনি হলেন আমার পরম প্রিয় মামনি।
মামনি আমার নিজের কোনো,কেউ ছিলেন না,আমার এক বন্ধুর প্রেমিকার মা।একদিন অই বন্ধুই আমার পরিচয়,করিয়ে দেয়।তারপর থেকে আস্তে আস্তে মামনির বারিতে আমার যাওয়া আসা সুরু।
কিছু দিন পর ব্যপারটা,এমন একটা জায়গায় পৌঁছলো যে একদিন ও এরকম হত না,যে কলেজ থেকে মামনির বারি না গিয়ে আমি নিজের বারিতে ফিরেছি।মামনি রোজ আমার জন্য জলখাবার বানিয়ে তারপর অফিসে জেতেন।তারপর সন্ধ্যা বেলা অফিস থেকে ফিরে আবার রান্না,এবং বেশির ভাগ দিনই আমি রাত এ খেয়েই বারি ফিরতাম।
আসলে মামনির কোনো ছেলে ছিল না,তাই হয়ত আমাকেই নিজের ছেলের মতই ভাল বাসতেন।যদিও আমার মা বাবা ব্যপারটা ভাল চোখে দেখেনি।বাড়িতে জানার পর থেকেই,আমার ওপর নজর দারি সুরু হল।কিছুদিন পর থেকে সময়ের হিসাব রাখা সুরু হল,ফলস্বরুপ,আমার মামনির বাড়ি যাওয়াও বন্ধ হল।
কিছু দিন পর আমার সেই বন্ধুর কাছে খবর পেলাম মামনিরা বাড়ি পাল্টেছেন,আমি আর নতুন বাড়ির ঠিকানা নেই নি।তাআর অ বেশ কিছু দিন পর,আমার সেই বন্ধুর সাথেও সুর কেটে গেল।
বছর দুয়েক আগে হটাত মামনির পুরন পাড়ার এক্তি লোকের সাথে আমার দেখা হয়,একথা,সেকথায় মামনির কথা জিগাস করলাম,"দাদা আআপ্নি জানেন আমার মামনি এখন কথাই থাকে?"সেই দাদা ত আকাশ থেকে পড়ার মত করে আমাই জিগাস করল,"কেনো তুমি কিছু জান না?"আমি জানিনা বলার পর,মুখ তা নিছু করে বল্ল,"মামনি কিছুদিন আগে, ব্লাড ক্যন্সার হয়ে মারা গ্যছেন।
এরপর আমার বলার আর কিছু নেই,এটা আমার একটা না বলা দুখঃ কে, বলে একটু হাল্কা হলাম।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
3 comments:
খুব দুঃখের স্মৃতিচারণা। পড়ার পর, মন ভারাক্রান্ত হয়ে গেল।
অনাত্মীয় এক কিশোরের প্রতি,একজন পুত্রহীনা নারীর পুত্রস্নেহ...অনেক ক্ষেত্রেই সমাজের ভ্রান্ত ধারণা, অমঙ্গলজনক আশঙ্কা ও সন্দেহের নীচে , চিরকালের জন্য চাপা পড়ে যায়।
অভিভাবকদের অধিকারবোধ, ব্যাকুল-হিতাকাঙ্ক্ষা এবং গণমাধ্যম থেকে জানা বিভিন্ন সামাজিক অপরাধের ঘটনা...এই সবই হয়তো এর জন্য দায়ী।
এর ফলে, সমাজের অথবা ভবিষ্যত-নাগরিক ঐ কিশোরের সত্যিই কোন কল্যাণ হয় কি না, সে কথা জানা নেই; তবে, মনুষ্যত্বের চরম অকল্যাণ হয়, এ কথাই মনে হয়।
আমার কবিতা
- ডাঃ সুবীর সরকার
একদিন তো চলে যেতে হবে।
কেউ কি জানে সে দিনটা কবে?
তাই তার আগে কিছুদিন হেসে খেলে
কাটিয়ে যাব যা চাই তা পেলে।
কি হবে স্বপ্নের পাখা মেলে?
কঠিন এ বাস্তবের সাথে খেলা খেলে
ক দিন বাচব আর ?
মরলে পরে রইবে নাকো তোমার আমার।
আপন পর ভুলে, আসন বসন খুলে,
মাটিতে হবে যে ঠাই হক না কেউ হরিজন বা গোসাই।
Post a Comment